কার্ফু হয়েছে জারি প্রেয়সীর শহরে,
চলছে তান্ডব, মরছে হাজারখানেক-
প্রেমিকের নগরে।
ফুসফুসে দীর্ঘশ্বাসের ঝড়,
গোধূলির সীমান্তে বিবেকের গণকবর।
মগজে চলছে আন্দোলন,
ভালোবাসি বলে ছড়াচ্ছে ভুয়া খবর।
একা হয়ে আজ গুটিয়ে নিজেকে,
দেখছি পতঙ্গের বেঁচে থাকার লড়াই।
বাঁচতে হবে, জীবন তো একটাই.....
প্রলোভন দেখিয়ে পৃথিবী আজ চিনছে না আমায়,
উদভ্রান্ত পথযাত্রী আমি, কেউ দেখছে না আমায়।
হৃৎস্পন্দনের মাত্রা যেনো দিন দিন কমে,
জীবন্ত লাশ হয়েছি আমি বক্ষে বিষাদ জমে।
চলছে হরতাল-অবরোধ তোমার হৃদয়ে,
কারফিউ লেগেছে আমার মগজে।
মিথ্যে মায়ায় লেপ্টে থাকা তোমার দেয়ালে,
আমি উদ্ভ্রান্ত পথিক সেখানে হেলান দিয়ে -
দাঁড়িয়েছি খানিকটা ক্লান্তি দূরের আশায়....!
পৃথিবীটাই বিষন্নতায় ছেয়ে গেছে,
বিষাদের জলোচ্ছ্বাসে ভাসছে সবাই।
বেঁচে আছে মানুষ, জীবন্ত লাশ হয়ে,
আশঙ্কা জমেছে মগজে, কোথাও কেউ নাই।
এই মহাকালে মহাকাশের তলে বিবেকহীন'দের সমারোহ,
ছুটছে সবাই মরিচীকার পিছু, কাটছে না কারো পৃথিবীর মোহ।
নীলাভ দৃষ্টি, উচ্ছিষ্ট মগজ, বাকরুদ্ধ ঠোঁট,
রক্তাক্ত হৃদপিণ্ড, বয়কট বধির অনুভূতি।
হতাশায় জর্জরিত, অতীতে নিমজ্জিত,
অনিমেষ অন্ধকারে বুঁদ হয়ে, দগ্ধ পরিনতি!
মৃত্তিকার অতল গহ্বরে জীবাশ্মের ইতিহাসে,
কত প্রেমিক বিদ্রুপে, প্রেমিকা রয়েছে উপহাসে।
পেশাদার প্রেমিকেরা আজ জীর্ণ-শীর্ণ দেহে,
পরে রয়েছে উন্মাদের মঞ্চে মিথ্যে মায়ার মোহে।
মলিন হচ্ছে সব স্মৃতি যত, হারাচ্ছে বিবেক-বুদ্ধি,
বিষাক্ত ডাকে সারা দিয়ে, করছে ওরা আত্মশুদ্ধি!
নগরে ডাকাত ঢুকেছে -
সংশয় জমেছে প্রেমিকার বুকে।
প্রেমিক মানেই মাথা নোয়ানোর বস্তু নয়,
প্রেমিকের পিঠেও শিরদাঁড় থাকে।
বাকরূদ্ধ হয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে ছন্নছাড়ার দল,
ডাকাতি করে নিয়ে গেলো সব, ভালোবাসা যেনো নিষ্ফল।
বয়কট করলো অনুভূতি যত, হরতালে স্বপ্নের গাড়ী,
জীর্ণ শীর্ণ হৃদপিণ্ড হাতে, দেবো বাইশ সমুদ্র পঁয়ত্রিশ নদী পাড়ি।
অসভ্যতার সীম ছাড়িয়ে, পৃথিবী হাঁটছে সমুখে পানে।
নক্ষত্ররা যাচ্ছে ঝরে, অশ্লীলতার চর্চা হচ্ছে মিল্কিওয়ের কোণে।
বেহায়াপনা বাড়ছে যেনো সৌরজগৎ জুড়ে,
মনুষ্যত্ব যেনো হচ্ছে বিলীন, অমানুষের ভীড়ে!
দিনে দিনে বাড়ছে যেনো অসৎ এর ঘনঘটা,
সততা আজ কাঁদছে, আর চাপড়াচ্ছে কপালটা!
এ কেমন সমাজ গড়েছি আজ - ঠাঁই হয়না নিজের,
এটা হবার ছিলো, মূল্য দেইনি পূর্বাভাসের!
“যা হচ্ছে হোক, তাকে আমার কি” -
এই বলে এড়িয়ে যাচ্ছে যত অচেতনের দল,
বিলুপ্তির পথে আজ তাদের মস্তিষ্কের বল!
গ্রহগুলোর গতিবেগ থেমে গেছে এমন এক পর্যায়ে,
যেখান থেকে চাইলেও আর পারবেনা যেতে ফিরে!
আজ! নিয়মগুলো যেনো বাকরুদ্ধ হয়ে চোখে অন্ধকার,
নিয়ম রয়েছে ঠিকই অক্ষর হয়েছে উধাও, চলছে ব্যভিচার!
বিস্ময়কর এই পৃথিবী'কে জানাই -
একরাশ সমবেদনা ।
বিবর্তনের ফাঁদে পা পিছলে,
করছো না অনুশোচনা !
তুমি জানো কী...!?
তৈরি হচ্ছো দিনে দিনে পরিপক্ব এক ঘৃণাপিন্ডে ।
পশ্চিমে জমেছে অসভ্যের ভীড় ।
বইছে অশ্লীলতার স্রোত, তোমার উত্তর খন্ডে !
শ্রবণ করো কী....!?
দক্ষিণা হাওয়ায় ভেসে আসছে,
ধর্ষিতার আর্তনাদ ।
পুর্ব কোণে পয়দা হচ্ছে লক্ষ-কোটি উন্মাদ ।
তবুও তুমি নিশ্চুপ হয়ে...!
লিখছো যেনো ঘৃণ্য উপন্যাস ।
বিবর্তনের জোয়ারে ভাসছে সবাই, তবুও হতাশ !
পরে থাকবে জানি, পরিত্যক্ত আলেখাগারে -
তবুও লিখে গেলাম আজ আষাঢ়ে ।
জীর্ণ-শীর্ণ, অকেজো, দুর্বল -
এক মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করছে আমায়!
বদ্ধ অভিলেখাগারের এক কোনে বসে,
আনমনে লিখছি – আমি শ্রাবণের অপেক্ষায়।
মনে পরে, নিশি রাতে, খুব করে
ছিলে কত যত্নে,
হারিয়েছে সে দিন গুলো -
ফিরবে না বিনিময়ের রত্নে।
স্নায়ুরা বিলুপ্তির পথে,
দিন দিন হচ্ছে বিলিন...!
মগজে এখন দূষিত বায়ু -
বইছে লাগামহীন।
মরীচিকা'র ঘোরে অন্ধ হয়ে,
ভাসিয়েছি নিজেকে মিথ্যে জলে -
শ্রাবণের অপেক্ষায় আমি আজও গগনতলে।
শ্রাবণের মেঘের গম্ভীর গর্জনে,
সুধায় প্রান, তৃপ্ত মগজ।
মলিনতার ছোঁয়ায় রং বদলায় -
ডায়েরী'র ছেঁড়া কাগজ।
তবুও, আমি শ্রাবণের অপেক্ষায়......!!!
শিরোনামহীন সম্পর্কের আদলে গড়ে উঠেছে -
এক নিশ্চুপ সভ্যতা।
বিবেকহীনেরা পালিয়ে বেড়ায়,
শ্রদ্ধা হারায় স্বাধীনতা।
মিথ্যের আশ্রয়ে বেড়ে উঠছে যত,
ঠুনকো প্রেমের গল্প।
চারিদিকে শুধু হাহাকার, সুখ -
মিলবে কি সল্প....?
মগজহীনতায় ভুগছি আমি,
সাথে আছে তবুও।
মুছে গেছে সুখময় প্রাচীন স্মৃতি,
ক্যানভাসে আঁকা ছবিও।
বদ্ধ আলেখাগারে,
ঘুণপোকার শাষণ টেবিল-চেয়ারে।
মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ শুকিয়ে যায়,
মৃত্যু যেনো দাঁড়িয়ে আছে দুয়ারে।
নিশ্চুপ এ সভ্যতার প্রয়োজন নেই জানি,
একাকিত্বেই শ্রেষ্ঠ সুখ মানি।
কোনো এক কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে,
কনকনে শীতে -
শুভ্র ধূমায়িত কুহেলিকায়,
হাতে হাত রেখে হাটবো দুজন।
চোখে চোখ রেখে -
স্বপ্ন দেখবো এক প্রেমময় জীবনের;
পূর্নিমার চাঁদ হবে আমাদের দোসর,
চারিদিক থেকে ভেসে আসবে ফুলের কোমল সুবাস,
জোছনার প্রতিটি কণা আছড়ে পড়বে আমাদের গাঁয়ে।
গোধূলির প্রান্তে বসে এসব, ভাবছি একা আনমনে....
অতঃপর চেয়ে দেখি -
তুমি নেই...!
তুমি নেই, তাতে কি -
আমি তো নেপচুনের কক্ষপথে থাকা এক -
জীর্ণ শীর্ণ মগজের মানুষ।
বেড়িয়েছি মহাকাশ ভ্রমণে,
চারিদিকের ক্ষত-বিক্ষত অ্যাস্ট্রয়েডের ছোবলে -
মগজের পূব কোণ বিষাদে ভরে যায়।
তবে সবই অনুভূতির অগোচরে, কারন -
আমি তো নেপচুনের কক্ষপথে থাকা এক -
বধির হৃদপিণ্ডের মানুষ।
গিয়েছিলাম সূদুর নীহারিকায়,
শুনেছি চলছে নাকি তান্ডব, মরেছে হাজার খানেক।
তাতেও বা আমার কি...!?
আমি তো নেপচুনের কক্ষপথে থাকা এক -
কুয়াশাছন্ন ঝাপসা দৃষ্টির মানুষ।
যেতে চাই, মাল্টিভার্স এর নতুন কোনো নিয়মের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে,
হতাশায় নিমজ্জিত হৃদপিণ্ডকে খানিকটা উল্লাসিত করতে।
আমি কি পারবো...!?
আমি তো নেপচুনের কক্ষপথে থাকা -
মানুষ নামের এক আজব চিড়িয়া।
যেদিন নদীর মাছ বিলীন হবে,
শেষ হবে মাটির উর্বরতা।
হয়তো তখন ফলবে না আর বটবৃক্ষ তরুলতা।
থাকবে না আর পৃথিবীতে সজীবতার ছোঁয়া,
ফুসফুসের জন্মাবে অনিমেষ অন্ধকার
বায়ুমন্ডলে দুষিত হাওয়া।
তৃনমূল আর রইবে না বিষাক্ত এ ধরায়,
সুপেয় পানি গ্রাস হবে অম্লতার ছোঁয়ায়।
❝ তখন মানুষ বুঝবে,
টাকা খাওয়া যায় না.....! ❞
আগস্টের পঞ্চমী,
শূন্যের উল্লাসে মাতোয়ারা।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে -
জং- এ খাওয়া মস্তিষ্ক নিয়ে যেনো আমি দিশেহারা।
অতঃপর, পিছু পানে ফিরে দেখি,
রক্তাক্ত পদধূলি।
তবে কি এ উল্লাস বৃথা ছিলো?
তবে কি মস্তিষ্ক আজ নাজুক হলো?
তবে কি প্লুটো থেকে ভেসে আসছে আক্ষেপ এর আর্তনাদ?
তবে কি নেপচুনের বুকে দেখা মিললো ভিন্ন আইনের চাঁদ?
তাতে আমার কি?
রক্তাক্ত পদধূলি মুছে যাবে, হাড়ভাঙ্গা খাটুনির ঘামে।
আছি তারই অপেক্ষায়.....
বিচ্ছেদ হোক আপোষে,
দুজন পাশাপাশি বসে।
সুস্থ মস্তিষ্কে, পরিচ্ছন্ন আলোচনায় বিচ্ছেদ হোক,
সমাধান হোক, শিরনামহীন সম্পর্কের ঝোঁক।
বিচ্ছেদ হোক, দুজন পাশাপাশি বসে...!
শূন্য আশায় বিভোর হয়ে, জেগে রই সহস্র রাত্রি।
মিথ্যের আঙ্গুল ধরে হাটছি আমি, উদভ্রান্ত পথযাত্রী।
দু'চোখের নষ্ট ঘুমের দরুন স্বপ্ন বুনি রংহীন,
মগজ ফিরিয়ে একি দেখি! জীবন বেজায় কঠিন।
সমুখ পানে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট বারেবার,
শান্ত হৃদয়, তবু মগজে তোলপাড়।
স্ব-হাত ধরে উঠে দাঁড়িয়ে স্থির দেহ,
কাটেনি তো এখনও বিচ্ছেদের মোহ।
আমি আবারও বলি,
আসো দুজন পাশাপাশি বসে, বিচ্ছেদ হোক আপোষে।
বিচ্ছেদ তো বিচ্ছেদ নয়, কালবৈশাখী ঝড়।
উড়িয়ে নেয় সর্বস্ব, উত্তাল শান্ত সাগর।
আমি কি ভূল বলেছি...?
খুঁজে দেখো তুমি ইতিহাসের পাতা,
ছারখার হয়েছে কত সুখের প্রেমগাঁথা।
শুধু এই অগোছালো বিচ্ছেদ এর দরুন।
তাই আমি আবারও বলি,
বিচ্ছেদ হোক আপোষে, দুজন পাশাপাশি বসে!
ডিসেম্বরের শহরে, ইউরেনাসের আগন্তুক -
হাতে তার জ্বলন্ত সিগারেট
মগজে বইছে বিষাক্ত বায়ু লাগাতার।
তুমি তাকিয়ে আছো, হতভম্ব দৃষ্টিতে!
লোকালয় থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে,
গলাভাঙা চিৎকারে, নেপচুন'কে জানাচ্ছে -
আগন্তুক তার মলিন হৃদপিণ্ডের বিচূর্ণ অক্ষরগুলো।
তুমি তখনও তাকিয়ে আছো, আর ভিজছো বৃষ্টিতে!
আগন্তুক তার কন্ঠ ফাটিয়ে চিৎকার সরূপ বলছে -
আমার শহরে দুর্ভিক্ষ, অনাহারে মরছে হৃদপিণ্ড।
খড়ার প্রকোপে মগজের শিরা-উপশিরা,
শুকিয়ে যেনো কাঠ।
তুমি তখনও তাকিয়ে, আগন্তুকের বেদনা সৃষ্টিতে!
আলতাদিঘী’র পাড়ে দাঁড়িয়ে, ডায়েরী খুলে -
দোয়াত আছে কলম যেনো হারিয়ে!
লিখতে বসেছিলাম নওগাঁ'র এক বোকা প্রেমের গল্প।
কথিত আছে, আনুমানিক চৌদ্দশ সাল,
রাজত্ব করতেন রাজা বিশ্বনাথ জগদ্দল।
ছিলো তখন প্রজা'দের তৃষ্ণা জলের সংকট,
স্বপ্ন দেখলেন রাণী একদিন খানিকটা উদ্ভট!
স্বপ্নে ছিলো, রাণী যদি হাঁটেন বহুদূর,
যতক্ষণ না পা ফেটে রক্তে হুলুস্থুল।
রাজ্য থেকে ততদূর হবে দিঘী খনন,
দূর হবে তৃষ্ণা যেনো স্বপ্নে যেমন।
ভোরে উঠে সেই কথা জানলো বিশ্বনাথ,
প্রেম পুজারী হয়ে তিনি হলেন সহতম।
রাণী নিলেন সিদ্ধান্ত স্বপ্ন অনুযায়ী,
শুরু করলেন হাঁটা, সে যেনো এক মমতাময়ী।
প্রজা'দের তৃষ্ণায় তৃষ্ণার্ত রাণী,
যতক্ষণ না পা ফেটে রক্ত, থামলেন না তিনি।
প্রেম পুজারী বিশ্বনাথ ওদিকে মারাত্মক ব্যাকুল,
তবুও যেনো থামছেন না রাণী স্বপ্ন মশগুল।
স্বপ্নে যে বলা ছিলো, হাঁটবেন তিনি যতদূরে
যতক্ষণ না রক্তের দেখা মিলবে তার পায়ে।
রাজ্য থেকে ওই অব্দি, হবে দিঘী খনন,
প্রজা'দের কল্যানে রাণী হাটলেন তেমন।
রাজা বললেন, থামো এবার হলো বহুদূর,
কান দিলেন না রাণী তাতে হাঁটবেন সুদূর।
রাজার তখন আদেশ হলো, মন্ত্রীর দাঁড়ে
আলতা ঢালো রাণীর পায়ে তাহার অগোচরে।
হঠাৎ করে রাণী যখন তাকায় নিচের দিকে,
রক্তে যেনো মেখে আছে পরলো তাহার চোখে।
স্বস্থি এলো রাণীর মনে, মুক্তি পেলো প্রজা,
দিঘীর খনন ওই অব্দি, আদেশে বিশ্বনাথ রাজা।
শেষ হলো খনন, তৃপ্ত প্রজাগন -
সেই থেকে আলতাদিঘী হলো নাম।
দুঃস্বপ্নের পথযাত্রী আমি, ভবঘুরে এক অদ্ভুত প্রাণী...!
তোমার সকল সৌন্দর্য'কে আমি -
পাপ বলে জানি!
কোনো এক কালে, তোমার আঁখি'তে -
মায়া ছিলো ভরা, জানো সে কি তুমি
তা মলিন হয়ে, বিলিন হয়ে গেছে।
তোমাতে উৎসর্গঃ করি, এ কবিতা -
ক্ষত-বিক্ষত হৃদপিণ্ডের যাতনা,
মিশে থাকে হায়! মগজের কোনায়!
এসব -
অগোচরে'ই শ্রেয়।
প্রেমিক মানেই, মাথা নোয়ানোর বস্তু নয়।
প্রেমিকের পিঠে'ও শিরদাঁড় থাকে!
তবুও -
মলিন'ও মনে ভেবেছি, অসমতার ভীড়ে হারিয়েছি।
খুঁজেছিলে কি...?
তাকাওনি পিছন ফিরে...!
তাহলে আজ অভিযোগ কিসের...!?
শত সহস্র বার হোঁচট খেয়ে, উঠে দাঁড়িয়েছি -
স্ব-হাত ধরে;
কই তোমারটা তো বাড়াও নি...!
তবে, আজ কেনো অভিমান তোমার হবে...!
সুযোগ তো আমারও ছিলো;
অভিমান ছিলো কি...!?
ভারাক্রান্ত হৃদয়ে টোকা খেয়ে, যখন উপচে ওঠে বেদনা।
কই ছিলে...!?
শুধু দূর থেকে বাসনা;
উপলব্ধি স্বরে ভেতর থেকে, সান্ত্বনার প্রতিধ্বনি -
যা হয়েছে ভূলে যাও, যা হচ্ছে -
হতে দাও, পৃথিবীর বুকে তুমি কারো নও...!
এসেছিলে তুমি তোমারই ইচ্ছায়,
ফের হারিয়ে গেলে আজ স্ব-ইচ্ছায়।
ভূমিকা ছিলো না আমার কখনও,
চলে যাওয়া শ্রাবণ মনে রেখেছো এখনও।
সময়ের সাথে সাথে অতলে ডুবেছি তোমার,
বৃথা আজ এ হৃৎস্পন্দন, মৃত্যু হোক আমার।
পেয়েছিলো জীবন, পুড়ে যাওয়া অনুভূতি গুলো,
ডুবেছি অতলে, বুঝিনি শুরুটাই মিথ্যে ছিলো।
আজ আমি উন্মাদের মঞ্চে উদভ্রান্ত এক পথযাত্রী,
মস্তিষ্ক জুড়ে দূষিত বায়ু বইছে যেনো প্রতিরাত্রী।
কেউ দেখছে না আমাকে; দেখেও করছে, না দেখার ভান;
বেঁচে কেনো আছি এ ধরায়, নষ্ট করছি অক্সিজেন।
সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে - পুরোনো স্মৃতির তাপ,
মরে যেতাম কবেই আত্মহত্যায় না হলে পাপ।
তোমার জন্য অধীর অপেক্ষা,
তাকিয়ে আছি মহাকাশ পানে।
আনমনে বসে, সাথে বধির হৃদপিণ্ডে
বিষাদ লালন করি, এক সমুদ্র প্রত্যাশায় -
আমি নিতান্তই এক ক্লান্ত উন্মাদ!
অতঃপর চেয়ে দেখি -
পৃথিবীর বুকে আমি কেউ না!
অপচয় করছি মানুষের বেঁচে থাকার,
অক্সিজেন ব্যতীত কিছুই না...!
পৃথিবীর বুকে আমি এক ক্লান্ত উন্মাদ।
~ to be continued....
কবিতা লিখতে বসেছিলাম -
কি লিখবো জানিনা, কিংবা কেনো লেখবো?
মগজের অতৃপ্ত স্নায়ুরা,
আর হৃদপিণ্ডের বধির অনুভূতিরা
বলছে আমায় - “তোমার কথা”।
তারা তোমাকে চায়, কবিতায়!
তোমায় নিয়ে কবিতা যেনো,
আমার স্নিগ্ধ হৃদয়, তৃপ্ত মগজের বোধ।
তোমায় নিয়ে কবিতা যেনো,
আমার পৌষের উষ্ণতা সাথে মিষ্টি রোদ।
তোমায় নিয়ে কবিতা যেনো,
আমার মগজে অশান্ত সুখের উল্লাস।
তোমায় নিয়ে কবিতা যেনো,
আমার হৃদপিণ্ডে প্রশান্তির জলোচ্ছ্বাস।
পরনে নীল শাড়ী, হাতে কাঁচের নীল চুড়ি,
খোপায় গোজা কাঠগোলাপ।
চোখে তার নিগূঢ় কালো কাজল আর ঠোঁটে
মৃদু গোলাপি সুখের বিলাপ।
এলো চুলে, সুনয়নী তার ঠোঁটের মৃদু কম্পনে
ডেকে আনলো অসময়ে বসন্ত।
চোখে চোখ রাখতেই, আমি ভেসে, উড়ে বেড়ালাম
মহাজাগতিক চেতনার প্রান্ত।