#01 — শিরোনামহীন সম্পর্ক
25 July - ‘23
শিরোনামহীন সম্পর্কের আদলে গড়ে উঠেছে -
এক নিশ্চুপ সভ্যতা।
বিবেকহীনেরা পালিয়ে বেড়ায়,
শ্রদ্ধা হারায় স্বাধীনতা।
মিথ্যের আশ্রয়ে বেড়ে উঠছে যত,
ঠুনকো প্রেমের গল্প।
চারিদিকে শুধু হাহাকার, সুখ -
মিলবে কি সল্প....?
মগজহীনতায় ভুগছি আমি,
সাথে আছে তবুও।
মুছে গেছে সুখময় প্রাচীন স্মৃতি,
ক্যানভাসে আঁকা ছবিও।
বদ্ধ আলেখাগারে,
ঘুণপোকার শাষণ টেবিল-চেয়ারে।
মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ শুকিয়ে যায়,
মৃত্যু যেনো দাঁড়িয়ে আছে দুয়ারে।
নিশ্চুপ এ সভ্যতার প্রয়োজন নেই জানি,
একাকিত্বেই শ্রেষ্ঠ সুখ মানি।
#02 — বিচ্ছেদ
19 July -‘23
বিচ্ছেদ হোক আপোষে,
দুজন পাশাপাশি বসে।
সুস্থ মস্তিষ্কে, পরিচ্ছন্ন আলোচনায় বিচ্ছেদ হোক,
সমাধান হোক, শিরনামহীন সম্পর্কের ঝোঁক।
বিচ্ছেদ হোক, দুজন পাশাপাশি বসে...!
শূন্য আশায় বিভোর হয়ে, জেগে রই সহস্র রাত্রি।
মিথ্যের আঙ্গুল ধরে হাটছি আমি, উদভ্রান্ত পথযাত্রী।
দু'চোখের নষ্ট ঘুমের দরুন স্বপ্ন বুনি রংহীন,
মগজ ফিরিয়ে একি দেখি! জীবন বেজায় কঠিন।
সমুখ পানে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট বারেবার,
শান্ত হৃদয়, তবু মগজে তোলপাড়।
স্ব-হাত ধরে উঠে দাঁড়িয়ে স্থির দেহ,
কাটেনি তো এখনও বিচ্ছেদের মোহ।
আমি আবারও বলি,
আসো দুজন পাশাপাশি বসে, বিচ্ছেদ হোক আপোষে।
বিচ্ছেদ তো বিচ্ছেদ নয়, কালবৈশাখী ঝড়।
উড়িয়ে নেয় সর্বস্ব, উত্তাল শান্ত সাগর।
আমি কি ভূল বলেছি...?
খুঁজে দেখো তুমি ইতিহাসের পাতা,
ছারখার হয়েছে কত সুখের প্রেমগাঁথা।
শুধু এই অগোছালো বিচ্ছেদ এর দরুন।
তাই আমি আবারও বলি,
বিচ্ছেদ হোক আপোষে, দুজন পাশাপাশি বসে!
#03 — অভিশপ্ত ধনুক
17 July -‘23
তীর'টা -
পিছন থেকে সরাসরি হৃদপিণ্ডে,
পাঁজর ছিঁড়ে বেরিয়ে!
ব্যাথা পেয়েছি তখন -
পিছন ফিরে তোমায় দেখে,
ধনুক হাতে দাঁড়িয়ে...!
#04 — আবিস্কার!
09 - Feb -‘23
পুরোনো, জং ধরা, অকেজো, দূর্বল এক মস্তিষ্ক সাথে নিয়ে...
অপরিচ্ছন্ন এক বারান্দায় বসে, নতুন পাতার আগমন দেখি!
প্রতি বসন্তে মানুষের'ও এক নতুন মস্তিষ্কের দরকার!
নতুন কিছু আবিস্কারের জন্য।
কিংবা......
#05 — শ্রাবণের অপেক্ষায়
22 - June -‘23
জীর্ণ-শীর্ণ, অকেজো, দুর্বল -
এক মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করছে আমায়!
বদ্ধ অভিলেখাগারের এক কোনে বসে,
আনমনে লিখছি – আমি শ্রাবণের অপেক্ষায়।
মনে পরে, নিশি রাতে, খুব করে
ছিলে কত যত্নে,
হারিয়েছে সে দিন গুলো -
ফিরবে না বিনিময়ের রত্নে।
স্নায়ুরা বিলুপ্তির পথে,
দিন দিন হচ্ছে বিলিন...!
মগজে এখন দূষিত বায়ু -
বইছে লাগামহীন।
মরীচিকা'র ঘোরে অন্ধ হয়ে,
ভাসিয়েছি নিজেকে মিথ্যে জলে -
শ্রাবণের অপেক্ষায় আমি আজও গগনতলে।
শ্রাবণের মেঘের গম্ভীর গর্জনে,
সুধায় প্রান, তৃপ্ত মগজ।
মলিনতার ছোঁয়ায় রং বদলায় -
ডায়েরী'র ছেঁড়া কাগজ।
তবুও, আমি শ্রাবণের অপেক্ষায়......!!!
#06 — স্মৃতি‘র পাতা!
03 - Dec -‘22
হারিয়ে যেদিন যাব আমি-
সেদিন তুমি বুঝবে!
কোথাও আমার পাবেনা তুমি-
শুধুই একা খুজবে!
যদি কোন দিন মনে পড়ে -
আমার কথা!
এক এক করে উল্টেনিও-
জীবনের যত স্মৃতির পাতা!
বর্ষন মুখের আকাশের কাছে জানতে চাও -
সে কি ভুলে গেছে তার ফেলে আসা সূর্যকে!
বিরহী কোকিলের কাছে জানতে চাও-
সে কি ভুলে গেছে তার সেই সুর!
#07 — শুকতারা!
05 - Nov -‘22
গোধূলির এক বেলা শুকতারা'র সাথে!
বাকি বেলা যদি কাটে পদ্ম হাতে,
আপত্তি কি তাতে...
#08 — আসক্ত!
25 - Nov -‘22
দুই ঠোঁটে'র ফাঁকে,
চুল বাঁধা'র ক্লিপ রেখে...
দুই হাত দিয়ে চুলের খোঁপা বাঁধা'র প্রেমে পড়েছিলাম!
#09 — উৎসর্গঃ
20 - June -‘23
দুঃস্বপ্নের পথযাত্রী আমি, ভবঘুরে এক অদ্ভুত প্রাণী...!
তোমার সকল সৌন্দর্য'কে আমি -
পাপ বলে জানি!
কোনো এক কালে, তোমার আঁখি'তে -
মায়া ছিলো ভরা, জানো সে কি তুমি
তা মলিন হয়ে, বিলিন হয়ে গেছে।
তোমাতে উৎসর্গঃ করি, এ কবিতা -
ক্ষত-বিক্ষত হৃদপিণ্ডের যাতনা,
মিশে থাকে হায়! মগজের কোনায়
এসব -
অগোচরে'ই শ্রেয়।
#10 — নিরর্থক জন্ম
13 - June -‘23
অবেলায় মুখরিত - যত ফুল,
যদি না পায় মালায় শোভা!
তবে কি তার জন্ম ভূল...?
গোলাপে থাকে কাটা,
তবুও, সে ভালোবাসার মুকুল।